সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বিজয় ফুল’ তৈরি, গল্প ও কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কণ, একক অভিনয় এবং দলগত দেশাত্নবোধক ও জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা’ আয়োজন প্রসঙ্গে।
সূত্র: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প.ও অপা.) মহোদয়ের স্মারক নং ২৩৩/৬৪, তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৮খ্রি.
উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামী ১৪অক্টোবর ২০১৮ খ্রি. তারিখ নিম্নবর্ণিত নিয়ম অনুসরণ করে ‘বিজয় ফুল’ তৈরি, গল্প ও কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কণ, একক অভিনয় এবং দলগত দেশাত্ববোধক ও জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা’র আয়োজনের মধ্য দিয়ে একদিন ব্যাপি ‘বিজয় ফুল উৎসব’ আয়োজন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপলব্ধি এবং সংগ্রামী ইতিহাস জানাবার জন্য ‘বিজয় ফুল উৎসব’ আয়োজন করতে হবে।
একক বিষয়: ১. বিজয়ফুল তৈরি ২. গল্প রচনা, ৩. কবিতা রচনা, ৪. কবিতা আবৃত্তি, ৫. চিত্রাঙ্কণ ৬. একক অভিনয়
দলীয় বিষয়: ১. দেশাত্নবোধক সংগীত, ২. জাতীয় সংগীত
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থী ‘গ্রুপ-ক’ এর অন্তর্ভূক্ত হবে।
‘বিজয় ফুল তৈরি’ প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি:
একটি স্লটে ১ ঘন্টায় শিক্ষার্থীরা শ্রেণিভিত্তিক ব্যক্তিগতভাবে এক বা একাধিক শাপলা ফুল তৈরি করবে।
প্রস্তুতকৃত শাপলা ফুলের পাপড়ি হবে ৭টি।সবুজ জমিনে সাদা রং এর ম্যাটেরিয়ালে এ ফুল তৈরি করতে হবে। ফুলের দৈর্ঘ্য হবে ৬ সেন্টিমিটার । আনুপাতিকভাবে প্রস্থ নির্ধারিত হবে। কাগজ, কাপড়, প্লাস্টিক শিটসহ অন্য যেকেন সামগ্রী ব্যবহার করে এ ফুল তৈরি করতে হবে।
ফুলের উল্টো পিঠে নাম, শ্রেণি, রোল ও বিদ্যালয়ের নাম লিখতে হবে।
শ্রেণিভিত্তিক প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী পুরস্কৃত হবে।
শ্রেণিভিত্তিক প্রথম স্থান অধিকারির ফুল নিয়ে প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী ফুল নির্মাতাকে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
বিদ্যালয়ে ১ম স্থান অধিকারী উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় (সম্ভাব্য ২০ অক্টোবর ২০১৮ খ্রি.) অংশগ্রহণ করবে। উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের জন্য এ ফুল সংরক্ষণ করতে হবে।
শ্রেণিভিত্তিক প্রতিযোগিতায় প্রস্তুতকৃত শাপলা ফুলসমূহ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের সামনে সাজিয়ে রাখতে হবে। অন্যান্য ফুল বিক্রিও করা যেতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প ও কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কণ, একক অভিনয় ইত্যাদি ‘বিজয় ফুল’ তৈরির প্রতিযোগিতার ন্যায় অনুষ্ঠিত হবে।
দলগত প্রতিযোগিতায় একটি দলে সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) জন শিক্ষার্থী থাকতে পারবে।
প্রতিযোগিতার প্রতিটি পর্যায়ে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীকে প্রতিষ্ঠান প্রধান সনদ প্রদান করবেন। ১ম স্থান অধিকারিকে প্রাইজ বন্ড এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরে সনদ প্রদান করা হবে।
উৎসব অনুষ্ঠানের দিন অভিভাবকসহ মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ জানাতে হবে।
উৎসব ব্যয়ভার বহনের জন্য বিদ্যালয় প্রতি দুই হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দ (উপজেলা নির্বাহি অফিসার মহোদয়ের মাধ্যমে) রাখা হয়েছে যা ভাউচার জমা দেওয়ার পরে প্রদান করা হবে।
এ উৎসবের পাশাপাশি ০১-১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে ‘বিজয় ফুল উৎসব’-এর আয়োজন করা হবে।
সংগ্রহে: মো: রিয়াজ হোসেন, সহকারী শিক্ষক, ২নং দক্ষিণ সাতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজাপুর, ঝালকাঠি।
সূত্রঃ বিধান চন্দ্র রায়